বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ফেসবুক সম্প্রতি তাদের নতুন প্রোফাইল ডিজাইন চালু করেছে, যা টাইমলাইন নামে পরিচিত। ফেসবুকের নতুন এই প্রোফাইল ব্যবহারকারীদের একটি মাত্র পেজেই তাদের সমস্ত জীবনের গল্প বলার সুযোগ করে দেয়।কিন্তু ঐযে, নিউটন সাহেব বলে গিয়েছেন, “প্রত্যেক ক্রিয়ারই একটি সমান ও বিপরীত
প্রতিক্রিয়া আছে”, সেই থিওরি মনে হয় ফেসবুকের পেছনেও লেগেছে। তা না হলে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা সিইও জুকারবার্গের গোপন ছবিই বা কেন ফাঁস হতে যাবে, আবার অন্য দিকে বহুল প্রতীক্ষিত টাইমলাইন নিয়ে লোকজন এত ক্ষোভই বা কেন দেখাবে!হ্যাঁ, টাইমলাইন জনপ্রিয়তা পেয়েছে সত্যি, কিন্তু এটা নিয়ে লোকজনের বিরক্তিরও অন্ত নেই। অনেকেই এটি “ট্রাই” করার জন্য এক্টিভেট করে তাদের প্রোফাইলকে আর পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে পারেননি। আপনাদের কাছে কেমন লাগে জানিনা, তবে আমার কাছে টাইমলাইন একটু “কমপ্লেক্স” লেগেছে। যদিও এটি “জীবনের গল্প” বলার জন্য এসেছে, তারপরেও এর হিজিবিজি চেহারার মধ্যে অনেকেই খেই হারিয়ে ফেলেন।
টাইমলাইন ডিএক্টিভেট করার প্রক্রিয়া নিয়ে ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক ফোরাম গুলোতে আলোচনার ঝড় বয়ে গেছে। ফেসবুকে অনেক অনেক পেজ, গ্রুপ খোলা হয়েছে টাইমলাইন হটানোর “সহীহ পদ্ধতি” নিয়ে। আর লোকজনও দেরী না করে ঝাঁপিয়ে পরেছেন টাইমলাইন বধের যুদ্ধে।
এসব পেজ ও গ্রুপে যে নিয়ম বলা হচ্ছে তা আসলে টাইমলাইন ডিএকটিভেট করা তো দূরের কথা, এর অপশনে কোন স্থায়ী পরিবর্তন করতে পারেনা। এরা যা করে তা হল আপনার ব্রাউজারে একটি এড-অন ইনস্টল করে যা শুধুমাত্র ওই নির্দিষ্ট ব্রাউজার দিয়ে ভিজিট করা টাইমলাইনকে পুরাতন ফেসবুক প্রোফাইল হিসেবে শো করে। আপনি যদি ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ৭ ব্যবহার করে থাকেন, তবে এমনিতেই আপনার ভিজিট করা টাইমলাইনকে পুরাতন প্রোফাইল হিসেবে দেখানো হবে। কারণ কি জানেন? কারণ হচ্ছে, ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ৭ এর মত ব্যাকডেটেড ব্রাউজারকে ফেসবুক টাইমলাইন সাপোর্ট করেনা।
সুতরাং এড অন ইনস্টল করে শুধু মাত্র সেইসব ব্রাউজারেই তা পুরাতন প্রোফাইল শো করবে। এটা আদৌ স্থায়ী কোন সমাধান নয়। কারণ আপনার বন্ধুরা যারা এটা না করবে তারা আপনার টাইমলাইন ঠিকই দেখবেন।
তাহলে টাইমলাইন পুরোপুরি বদলে নেয়ার উপায় কি? হ্যাঁ, আমারও এই প্রশ্ন ছিল। আর দুর্ভাগ্য জনক হলেও সত্যিটা খুব বেদনাদায়ক, তা হল, “টাইমলাইন ডিএকটিভেট করার কোন উপায় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ চালু করেনি। আর ভবিষ্যতে ধীরে ধীরে সবার প্রোফাইলই টাইমলাইন হয়ে যাবে”।
একবার টাইমলাইন আপগ্রেড করলে আপনি প্রথম ৭ দিন তা পর্যবেক্ষণে রাখতে পারবেন। এরপর তা অটোমেটিক পাবলিশ হবে। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ এটি “ক্যান্সেল” করার কোন অপশন রাখেনি।
সুতরাং টাইমলাইন চালু করার আগে সাবধান! আর এটি বন্ধ করার জন্য এড-অন ইনস্টল করতে গিয়ে ম্যালওয়্যারের বা স্ক্যামের ফাঁদে পড়লে আমার কিন্তু কোন দোষ নাই।
সবাই ভাল থাকুন, ধন্যবাদ।
No comments:
Post a Comment